ওমরাহ পালনের ফজিলত; বাংলাদেশ থেকে যেভাবে যাবেন
On Call Price

উমরাহ পালনের ফজিলত; বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে কিভাবে উমরাহ পালনে যাবেন 

উমরাহ (Umrah) একটি সুন্নাহ এবাদত। এবাদতের পদ্ধতির দিক থেকে ফরজ এবাদত হজের সাথে উমরাহর সাদৃশ্য রয়েছে। উমরাহকে হজে আসগার বা ছোট হজও বলা হয়। যারা উমরাহ পালন করতে যান তাদেরকে বলা হয় মুতামির। সারাবছরই উমরাহ পালন করা যায়। 

তবে হজের তুলনায় উমরাহ বেশ সংক্ষিপ্ত এবাদত। মূলত এটি মক্কা নগরীর মাসজিদুল হারাম বা কাবাঘর কেন্দ্রীক এবাদত। উমরাহ এর আনুষ্ঠানিকতা তাওয়াফ এবং সাঈ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। 

উমরাহ পালনের মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর নৈকট্য এবং ক্ষমা লাভ করেন। এতে তার রূহ পরিশুদ্ধ হয়। কোরআন ও হাদিসে উমরাহ পালনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কোরআনে বলেন, “আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ, উমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর…” (আল কোরআন। ২:১৯৬)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “এক উমরাহ অপর উমরাহ পর্যন্ত সংঘটিত গুনাহগুলোর কাফ্‌ফারা স্বরূপ। কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নেই।” (ইবনে মাজাহ : ২৮৮৮) 

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী, হজকারী ও উমরাহকারী আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। 

আল্লাহ তাদের আহ্বান করেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তাঁর কাছে যা চেয়েছেন, তিনি তাদের দিয়েছেন” (ইবনে মাজাহ : ২৮৯৩)। 

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অন্য একটি হাদিসে এ বিষয়ে আরো বলেছেন,

‘হজ ও উমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। 

তারা আল্লাহকে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। তারা তাঁর কাছে মাগফিরাত কামনা করলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।” (ইবনে মাজাহ : ২৮৯২)। 

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমরা হজ ও উমরাহ আদায় করো। 

কেননা, হজ ও উমরাহ দারিদ্র্যতা ও গোনাহ দূর করে দেয় ঠিক সেভাবে, যেভাবে হাঁপরের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়।’ (তিরমিজি: ৮১০)। 

সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি ধর্মীয় দৃষ্টিতে উমরাহর গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। তবে এছাড়াও আমাদের দুনিয়াবী জীবনেও উমরাহর পালনের ব্যাপক প্রভাব ও ফজিলত রয়েছে। 

যেমনঃ-

১. শরীর ও মনের পরিশুদ্ধি। 

উমরাহ পালনের প্রধান কাজগুলোর একটি অংশ হলো শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় একমনে আল্লাহর এবাদত। 

মহান রবের প্রতি এই একাগ্রতা তথা আল্লাহর প্রতি নীবিড় আনুগত্য মানুষের শরীর ও মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। চারপাশের আধ্যাত্মিক পরিবেশ এবং আল্লাহর ঘর কাবার নির্মল আবহাওয়ার মেলবন্ধনে শরীর ও মন দুটিই পরিশুদ্ধি লাভ করে। 

২. ধৈর্য্যশীলতার শিক্ষা।

ওমরাহ পালনে বেশ কিছু কাজ র‍য়েছে যেগুলোর জন্য ধৈর্য্য ধারণ করে, আন্তরিকতার সাথে অপেক্ষা করতে হয়। 

যেখানে তাড়াহুড়ো করার কোন সুযোগ নেই যা আমাদের আন্তরিক ও ধৈর্য্যশীল হতে শেখায়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, “হে মুমিনগণ! ধৈয্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ১৫৩)। 

৩. আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা

উমরাহ পালনের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও নানান ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যেতে পারে।

উমরাহতে যাওয়ার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে সাঈ করার পর, মাথা মুণ্ডন করা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিই এমন; যেখানে সকল বিলাসিতা ত্যাগ করে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর পথে সঁপে দেওয়ার জন্য তৈরী করা হয়। 

এর মাধ্যমে আমরা আত্মনিয়ন্ত্রণ, চিন্তাশীলতা, শৃঙ্খলা ও ভোগ-বিলাস মুক্ত জীবনের চেতনা ধারণ করতে পারি । 

৪. আন্তরিকতার বন্ধন সৃষ্টি

সময় যত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্টীয় জীবন থেকে বন্ধন গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে আন্তরিক্তার চরম অভাব। 

উমরাহ করার ফলে এই ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া যায়। সাধারণত পরিবারের লোকজন বা পরিচিত মানুষরা একসাথে উমরাহ করেন। প্রায় ১৫ দিন একসাথে থাকা, খাওয়া এবং এবাদত বন্দেগী করার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। 

শুধু দেশের মানুষের সাথেই নয়, বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের সাথেও সৌহার্দের আদান-প্রদান হয়। 

৫. জীবন নিয়ে উপলব্ধি।

উমরাহ পালনের স্থান, পবীত্র নগরী মক্কা, নবী-রাসুলের পূণ্যভুমি। সেখানে ক্রমাগত মহান আল্লাহর রহমত নাযিল হতে থাকে। যার মধ্যে সমস্ত মানব জাতির জন্য কল্যাণ নিহিত থাকে। 

পুরো পরিবেশ থাকে নির্মল আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণ। হজ এবং ওমরাহ পালনকারিরা প্রায়শই গভীর এই আধ্যাত্মিকতার স্বাদ পান।

এতে উমরাহ পালনকারী প্রত্যেকেই নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারেন। নিজের জীবনকে উপোলব্ধি করতে পারেন। 

উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি, উমরাহ পালন শুধুমাত্র আধ্যাত্মিকতা ও এবাদতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের দুনিয়াবী জীবনের নানান ক্ষেত্রে উমরাহর উপকারীতা আমরা দেখতে পাই। 

যখন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা উমরাহ পালনের জন্য যান, তখন তাঁরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করার মানসিকতা নিয়েই সেখানে যান। তাঁদের হৃদয়ে ওমরাহ পালনের অভিজ্ঞতা প্রবলভাবে প্রভাব বিস্তার করে। 

এই অভিজ্ঞতা ব্যক্তিত্বকে সমৃদ্ধ করে, আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস গভীরতর করে এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহর রহমতের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদের সাহায্য করে।

উমরাহ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে যেভাবে যাবেন 

 

বাংলাদেশ থেকে সারাবছই লাখ লাখ মুসলিম উমরাহ পালন করেন। পবীত্র রমজান মাসে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

বর্তমানে সৌদি সরকারের কিছু অভিনব পদক্ষেপের কারণে, উমরাহ পালন আরো সহজ হয়েছে। এখন সৌদি আরবের যেকোনো ধরণের ভিসাধারী মুসলিমরা উমরাহ পালন করতে পারবেন। 

সৌদি কর্তৃপক্ষের উমরাহ সম্পর্কিত নীতিমালা শিথিল করার ফলে বিষয়টি অনেক সহজ হয়েছে।

উমরাহ পালনের অনুমতির জন্য “নসুক অ্যাপ” এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। নিজের সুবিধা মত প্যাকেজ নিয়ে আপনি কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই উমরাহ করতে পারবেন।  

উমরাহ পালনের জন্য এখন ভুমি, আকাশ এবং নৌপথে সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে। একই সাথে ভিসার মেয়াদ এখন ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে উমরাহ ভিসা নেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল একটি বৈধ ও নির্ভরযোগ্য এজেন্সির শরণাপন্ন হওয়া। শুরুতেই আপনাকে একটি নির্ভরযোগ্য বৈধ এজেন্সি খুঁজে বের করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এই এজেন্সির কাছ থেকে আপনি সর্বাত্বক সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা সমূহ পাবেন।

এজেন্সি আপনাকে ভিসা পাওয়ার নিয়ম গুলো জানতে, বুঝতে এবং সেঅনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নিতে কয়েকটি ধাপ পাড়ি দিতে হয়।

১ম ধাপঃ এজেন্সির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমা প্রদান। 

যখন আপনি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন তখন এজেন্সি আপনার প্রোফাইল তৈরি করার জন্য কিছু কাগজপত্র চাইবে। সেগুলো হলোঃ 

  • একটি পূরণকৃত ভিসা ফর্ম। 
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট ।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি। 
  • আসা-যাওয়ার টিকিট এর কপি। 
  • সৌদিতে গিয়ে কোথায় থাকবেন তার প্রমাণ-পত্র যেমন হোটেল বুকিং এর কপি।
  • প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদ। 
  • যদি আপনি নারী হন এবং কোন মারহাম ছাড়া ভ্রমণ করেন তাহলে একটি বিশেষ পূরণকৃত  ফর্ম। 

২য় ধাপঃজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রোফাইল তৈরি করা।

৩য় ধাপঃ অনলাইনে ভিসা ফরম পূরণ। 

৪র্থ ধাপঃ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ওয়েবসাইটে আপলোড। 

৫ম ধাপঃ বৈধ মাধ্যমে অনলাইন ফ্রী প্রদান। 

৬ষ্ঠ ধাপঃ ভিসা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা।

৭ম ধাপঃ ভিসা প্রাপ্তি। 

 

বাংলাদেশ থেকে উমরাহ ভিসা পেতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। 

  • একটি সঠিকভাবে পূরনকৃত ফর্ম, সৌদি কন্স্যুলেটে পাঠাতে হবে। 
  • আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস থাকতে হবে। 
  • আপনার বয়স ১২ বছর বা তার অধিক হতে  হবে। 
  • সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা। 
  • সৌদি আরবে পৌঁছানোর তারিখের অন্তত ১৪ দিন আগে টিকিট কাটতে হবে, মনে রাখা ভালো টিকিটের মূল্য অফেরতযোগ্য। 
  • সঠিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার প্রমাণ থাকতে হবে। 
  • সৌদি আরব পৌঁছানোর ফ্লাইটের অন্তত তিন দিন আগের পি.সি.আর টেস্ট এর রিপোর্ট থাকতে হবে। 
  • অন্তত ১৪ দিনের মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স থাকতে হবে। 
  • অনেক সময় ক্ষেত্রবিশেষে ট্রেড লাইসেন্সের কপি এবং ভিজিটিং কার্ডের কপি দেখাতে হতে পারে। 

শেষে আমরা বলতে পারি একটি নির্ভরযোগ্য এজেন্সিকে দায়ীত্ব দিলে আপনার জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অত্যন্ত সহজ এবং ঝামেলাহীন। 

তবে আপনি নিজেও আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু নিজে আবেদন করলে নানান ভুল ভ্রান্তি হও্যার সম্ভাবনা থাকে। একারণে একটি এজেন্সির সহায়তা নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ। বাংলাদেশে এরকম বেশ কিছু এজেন্সি র‍য়েছে। 

বাংলাদেশে এমন একটি আস্থাভাজন এজেন্সি হল ITS Holidays Ltd। এজেন্সিটির রয়েছে উমরাহ যাত্রীদের সেবা দেওয়ার দীর্ঘদিনের রেকর্ড। 

তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে সব আকর্ষনীয় উমরাহ প্যাকেজ গুলি, যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ মতো বেছে নিতে পারেন।

আপনার উমরাহ যাওয়ার সকল চিন্তা তাদের উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।  ITS Holidays Ltd এর সাথে আপনার উমরাহ হবে সহজ, দুশ্চিন্তা মুক্ত এবং সম্পূর্ণ ঝামেলা-বিহীন।

CODE: TT-1284

Umrah Package From BDসতর্কতা – নিজ দায়িত্বে সকল লেনদেন করবেন । AamarMarket.com বাক্তিগত লেনদেন এর জন্য কোনোভাবেই দায়ী  থাকবে না

AamarMarket.com অনন্য সেবাদাতা হিসেবে ভূমিকা রাখার জন্য আপনাদের সহযোগিতা সর্বদা কাম্য । আমরা নিজেরা কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করি না; পরিবর্তে, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সংযুক্ত করি,  যাতে ক্রেতা এবং বিক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে; তাদের শর্তে নিজেরা লেনদেন পরিচালনা করতে সক্ষম হয় । সরাসরি  অংশগ্রহন করে কেনা বেচা করার প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে, আমরা স্বচ্ছতা, বিশ্বাস এবং পক্ষগুলির মধ্যে উন্মুক্ত যোগাযোগ প্রচার করে থাকি।

Overview

Features:

  • Umrah Packages

Leave a review about this

  • Quality
  • Price
  • Service